কিভাবে রিসার্চ পেপার পড়া শুরু করবো ও কোথা থেকে পড়বো

আগের দিন আমরা জেনেছি যে রিসার্চ পেপার কী ও কেন পড়বো? আজকে আমরা জানবো মূলত ২ টি বিষয় কীভাবে পড়া শুরু করবো ও কোথা থেকে পড়বো।

একদম শুরুতে রিসার্চ পেপার পড়া আপনাদের অনেকের জন্য একটু কঠিন মনে হতে পারে। কারণ আপনি এখন একদম নতুন এবং কিভাবে শুরু করবেন তা বুঝতে পারছেন না। কিন্তু আসলে রিসার্চ পেপার পড়া কোনো রকেট সায়েন্স নয়। একটু ঠিকঠাক পরিকল্পনা ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ আর ধৈর্য থাকলে আপনি খুব সহজেই রিসার্চ পেপার পড়ার কাজ শুরু করতে পারবেন।

তো আজকে আমি আপনাদের জন্য প্রথম দিন রিসার্চ পেপার পড়া শুরু করার জন্য একদম বেসিক, সহজ গাইডলাইন দেবো। এতে আপনার ভয় দূর হবে, আগ্রহ তৈরি হবে এবং ধীরে ধীরে আপনি পুরোপুরি ও ভালোভাবে রিসার্চ পেপার পড়ার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

ওয়েবসাইটের নামলিংক
Google Scholarhttps://scholar.google.com
ResearchGatehttps://www.https://research.miucse.eu.org/wp-content/uploads/2025/10/what-is-APA-MLA.pnggate.net
PubMed Central (PMC)https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/
arXiv.orghttps://arxiv.org
DOAJ (Directory of Open Access Journals)https://doaj.org
JSTORhttps://www.jstor.org
SpringerLinkhttps://link.springer.com
ScienceDirecthttps://www.sciencedirect.com
Academia.eduhttps://www.academia.edu
Semantic Scholarhttps://www.semanticscholar.org
OATD (Open Access Theses and Dissertations)https://oatd.org
COREhttps://core.ac.uk

ফ্রি ভার্সন খুঁজে বের করার ট্রিকস

  • অনেক সময় ওয়েবসাইটের পেইড পেপারের বাইরে লেখকের ওয়েবসাইট বা গুগল সার্চে পেপার ফ্রি পাওয়া যায়।
  • ব্রাউজারে Unpaywall নামের এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন, এটি অনেক সময় ফ্রি পেপার খুঁজে দেয়।

  • সর্বদা পেপার ডাউনলোড করার আগে পেপার প্রকাশ হওয়ার তারিখ দেখুন, চেষ্টা করবেন আপনার বিষয়ের নতুন পেপার পড়ার। কারণ নতুন পেপার বেশি আপডেট থাকে।
  • আপনি যে বিষয়ে পেপার পড়তে চান সে বিষয়ের ভালো রিভিউড ও অধিক সাইটেড পেপার বেছে নিন।
  • প্রয়োজনে শিক্ষক ও অভিজ্ঞদের সাহায্য নিন।

প্রথমেই মনে রাখবেন যে রিসার্চ পেপার পড়তে গিয়ে পুরো পেপার একসঙ্গে পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি আপনি একসাথে পুরো পেপার পরতে যান দেখবেন প্রথমেই আপনার বিরক্তি চলে এসেছে। এজন্য প্রথম দিকে কখনোই একসাথে পুরো পেপার পরতে যাবেন না। বরং প্রথম দিন আপনাকে ছোট ছোট অংশ পড়ে পেপারের ধারণা নিতে হবে। এজন্য আপনারা নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

পেপারের শিরোনাম (Title) পড়ুন

শিরোনাম থেকে বুঝতে পারবেন বিষয়টা আপনার জন্য কিনা বা আপনার ফিল্ডের সাথে সম্পর্কিত কি না।

Abstract পড়ুন

আগের সেশনে আমরা জেনেছি যে Abstract হলো পেপারের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, এটা পড়লে আপনি পেপারের মূল কথা অল্প কিছু লাইনের মধ্যে জানতে পারবেন। মূলত Abstract টা একটু কষ্ট করে মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেকটাই বুঝতে পারবেন যে এই পেপার টি আপনার জন্য কিনা।

Conclusion পড়ুন

Abstract পড়ার পর আপনি চাইলে Conclusion অংশটি পড়তে পারেন। কারণ এই Conclusion অংশে রিসার্চার পুরো পেপারের বিস্তারিত আলোচনা শেষে কী ফলাফল পেয়েছেন এবং তার গুরুত্ব কী এসব তুলে ধরেন। এটা পড়ে আপনি জানতে পারবেন গবেষণাটি শেষ পর্যন্ত কী বলছে এবং এর প্রভাব কী হতে পারে।

মূলত এই তিনটি অংশ পড়ে আপনি একটা ভালো ধারণা পাবেন যে পেপারটি কি নিয়ে এবং আপনার পেপারটি কি আপনার পড়া উচিত কি না।


নিজের ভাষায় সারাংশ লেখার চেষ্টা করুন

একটি পেপারের এই ৩ টি বিষয় পড়ার পর আপনি যে কাজটি করতে পারেন সেটি হলো এতক্ষণ পড়ে যা আপনি বুঝতে পেরেছেন সেটিকে অল্প ভাষায় লিখে ফেলুন। প্রথমে আপনি এই সারাংশ বাংলায় লিখতে পারেন। তবে পরবর্তীতে অবশ্যই ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস করতে হবে।

এতে আপনার ২ টি উপকার হবে

  • আপনার চিন্তার সক্ষমতা বাড়বে। কি পড়েছেন এবং জেনেছেন সেটি মনে থাকবে ভালো করে।
  • পেপার নিয়মিত পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।


আজকে এই পর্যন্ত। আশা করি আপনারা এই এই স্টেপগুলো ফলো করলে, প্রথম দিন ভয় কাটিয়ে আগ্রহ নিয়ে রিসার্চ পেপার পড়ার দিকে এগোতে পারবেন। এরপর ধীরে ধীরে Introduction → Literature Review → Method ইত্যাদি অংশগুলো পড়া শুরু করা যাবে তবে সেগুলো নিয়ে আগামী সেশনে ধীরে ধীরে আলোচনা করবও ইনশাআল্লাহ।

Task


Google Scholar / ResearchGate বা অন্য কোনো সোর্স থেকে আপনার আগ্রহের একটি ছোট রিসার্চ পেপার সিলেক্ট করুন।

সেখান থেকে শুধু Title এবং Abstract অংশটি মন দিয়ে পড়ুন।

এরপর নিজে নিজে ২-৩ বাক্যে আপনি কি কি বুঝেছেন সেটি লিখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *